ওয়াকফ নিয়ে উত্তেজনার মাঝে ইমামদের সম্মেলনে মমতা, প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বললেন…

ওয়াকফ নিয়ে উত্তেজনার মাঝে ইমামদের সম্মেলনে মমতা, প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বললেন…

Spread the love

নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা : Waqf Meeting: ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন আদালতের নির্দেশে

ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদের এক বড় অংশে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আদালতের নির্দেশে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের একটি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সম্মেলনে ইমামদের আগমন শুরু হয়েছে। তবে এই সম্মেলন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “সব কিছু মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই হচ্ছে। ঈদের দিন উনি একপ্রকার উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন, যা খুশি করো, আমি দেখে নেব। মুর্শিদাবাদে যে সহিংসতা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষ পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী এখন সম্মেলন করে মুসলিমদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন। শরবত খাওয়ানো হবে, প্রশংসা করা হবে—এটাই কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য?”

দিলীপবাবুর আরও দাবি, “ওরা নিজেরাই বলেছে আন্দোলন অন্তত ৪০ দিন চলবে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর এইটাই মনোভাব হয়, তবে রাজ্যের হিন্দুদের ভাবতে হবে, কীভাবে তারা বাঁচবে।”

তবে ইমামদের বক্তব্য ভিন্ন। নেতাজি ইন্ডোরে আসা ইমামদের দাবি, তারা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চান। তাদের প্রধান লক্ষ্য, নবগঠিত ওয়াকফ আইন বাতিল করা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের আরও কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তারা। মুর্শিদাবাদের ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন ইমাম।

অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ বাকিবিল্লা বলেন, “বাংলায় চিরকাল সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থেকেছে। আমাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ছিল, থাকবে। সহিংসতা আমরা কেউই সমর্থন করি না। মুখ্যমন্ত্রী সভায় কী বলেন, তা জানার জন্য আমরা সকলে অপেক্ষায় আছি।”

অন্যদিকে, আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইন নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে শুনানি হবে। মামলাগুলি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ আরও অনেকে। অন্যান্য রাজ্য থেকেও এই বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *