নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক,স্বাস্থ্য : HEALTH AND LIFESTYLE প্রথম পাতে নিয়ম, শেষ পাতায় ছাড়? রুজুতার পডকাস্টে মিলল মিষ্টিমুখের ছাড়পত্র!
দিন শুরু হয় ওটস দিয়ে, আর সারাদিন চলে হিসেব কষে প্রোটিন আর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়ার পরিকল্পনায়। জীবনে জায়গা নেই আইসক্রিম বা মিষ্টির জন্য। কিন্তু পয়লা বৈশাখে কি এই একই নিয়ম মেনে চলা উচিত? রসগোল্লা বা রসমালাই দেখে কি শুধু চোখে দেখা আর মনে বোঝানো—”না, এটা আমার খাবার নয়?”
সম্প্রতি এক পডকাস্টে ঠিক এই প্রশ্নে ভিন্ন মত দিয়েছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর। করিনা কপূরের ডায়েটিশিয়ান হিসেবে তিনি পরিচিত হলেও, আলিয়া ভট্ট থেকে করিশ্মা কপূর—অসংখ্য তারকাই তাঁর পরামর্শ মেনে চলেন।
রুজুতার মতে, শেষ পাতের মিষ্টিমুখ নিয়ে অপরাধবোধের কিছু নেই—শুধু পরিমাণটা যেন ঠিক থাকে। তাঁর সোজা কথা, “আমি কখনও কাঠবাদাম বা মিলেট দিয়ে বানানো কেক খাইনি। যদি কেক খাই, তবে সেটি হবে চিনি, মাখন আর ময়দা দেওয়া ঐতিহ্যবাহী কেকই।” অর্থাৎ, ‘হেলদি’ ডেসার্ট নয়, বরং সাধারণ খাবারটাই যদি সুষম হয়, তাতেই স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় থাকে।
রুজুতা স্পষ্টভাবে বলেন, “ডিম খেলে কুসুমসহ খাও, দুধ খেলে ফ্যাটসহ খাও। এ সব কাটছাঁট করে খাওয়ার মানে আনন্দহীন জীবন।”
এই একই যুক্তিকে সমর্থন করছেন দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থের পুষ্টিবিদ রিচা চতুর্বেদীও। তাঁর কথায়, “শেষ পাতের মিষ্টিমুখে কোনও সমস্যা নেই, শুধু বুঝে খাওয়াটা জরুরি।” রিচার মতে, “মিষ্টি খেতে হলে আসল চিনি দেওয়া মিষ্টিই খাও। সুগার-ফ্রি বা ‘লো ক্যাল’ চকলেট দিয়ে সেই আনন্দ আসে না। বরং একদিন মন ভরে খেলে, সপ্তাহের বাকি দিনে নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক সহজ।”