নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক,পশ্চিমবঙ্গ : ওয়াকফ আইন নিয়ে বিক্ষোভ: মুর্শিদাবাদ-সহ চার জেলায় আফস্পা জারির দাবি বিজেপি সাংসদের
ওয়াকফ আইন সংশোধনের প্রতিবাদে উত্তাল মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে বিএসএফ। প্রতিবাদ এবং সংঘর্ষে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো সীমান্তবর্তী জেলায় সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন অর্থাৎ আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (AFSPA) জারি করা হোক।
জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর অভিযোগ, ওই জেলাগুলিতে হিন্দুদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। অনেকেই প্রাণভয়ে ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর দাবি, ফিরহাদ হাকিম ও তাঁর সহযোগীদের মদতে এই অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ফিরহাদ হাকিম অ্যান্ড কোম্পানি ঘর জ্বালাচ্ছে, মানুষকে ঘরছাড়া করছে, আর আমাদের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তোলা হচ্ছে! যতদিন বিজেপি আছে, ততদিন বাংলাকে বাংলাদেশ হতে দেওয়া হবে না। দিদিকে এখান থেকে বিদায় নিতেই হবে।”
এই দাবি সমর্থন করে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন নদিয়ার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও।
তবে জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মণিপুরে দিনের পর দিন মানুষ মারা যাচ্ছিল, ঘাতকরা AK-47 নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকত। তখন তো এদের মুখে কথা ফুটল না! মণিপুরে বিজেপির সরকার, অথচ প্রধানমন্ত্রী একটাও কথা বললেন না। দিল্লিতে ১০ দিন ধরে দাঙ্গা চলল, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী থাকার পরও কিছু করলেন না। এখন বাংলা নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন? বাংলাকে আফস্পা জোন করার কথা বলছেন? বাঙালি কি এতই বোকা?”
তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরার একাধিক জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত, সেখানেও সেনা নামানো হয়েছে। সেখানেও তো বিজেপির সরকার। দিল্লির দাঙ্গায় কপিল মিশ্র ও অনুরাগ ঠাকুরের মতো নেতারা উস্কানি দিয়েছিলেন। যারা নিজের রাজ্য সামলাতে পারে না, তারা বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে! অর্জুন সিং বলেছে, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে লোক এনে আন্দোলন দমন করবে—সরকারকে বলব এর তদন্ত হোক এবং প্রমাণ মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”