সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর শিক্ষকরা স্কুলে ফিরতে আগ্রহী, তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও রয়েছেন তারা।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর শিক্ষকরা স্কুলে ফিরতে আগ্রহী, তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও রয়েছেন তারা।

Spread the love

নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ: সুপ্রিম কোর্টের রায় পর, ফের স্কুলে ফিরতে চান শিক্ষকরা, আন্দোলনও জারি থাকবে

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে, চাকরি ফিরে পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা আবার স্কুলে ফিরতে আগ্রহী হলেও, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চান বলেই জানিয়েছেন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানরত আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তাঁদের তরফে জানানো হয়, তাঁরা নতুন করে পরীক্ষায় বসতে রাজি নন। ফলে স্কুলে ফিরে যাওয়ার পরেও কীভাবে আন্দোলনে অংশ নেবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে যাচ্ছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃন্দাবন ঘোষ ও মেহবুব মণ্ডল জানান, “আমরা সরকারের অবস্থানে সন্তুষ্ট নই। অযোগ্যদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আদালতের নির্দেশে কাজে যোগ দিলেও আন্দোলন ও আইনি লড়াই চলবে। যদি নতুন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাহলে বিকাশ ভবন, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সামনে বিক্ষোভ চলবে।”

যদিও এই সংগঠন সব চাকরি হারানো শিক্ষক-কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। সংগঠনের আরেক সদস্য ইল্লাজুর রহমান বলেন, “আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে স্কুলে ফিরে যাব, কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে যাব। সরকারি কর্মচারী হিসেবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা জরুরি।”

আগামী ১৮ ও ১৯ এপ্রিল জেলা ভিত্তিক মিছিল ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি নিয়েছে সংগঠনটি। ২১ এপ্রিল এসএসসি-র সামনে অবস্থান এবং ২২ এপ্রিল শিয়ালদহ থেকে রাজভবন অভিযানের ডাকও দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ফলে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-কর্মী চাকরি হারান। এরপর এই মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাঁরা আপাতত স্কুলে ফিরে যেতে পারবেন। তবে রাজ্য ও এসএসসি-কে ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।

তবে এই নির্দেশ শুধু শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের বিষয়ে কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছে ‘যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী অধিকার মঞ্চ’।

আন্দোলনের মুখপাত্র চিন্ময় মণ্ডল জানান, এই রায়কে কৌশলগত সাফল্য বললেও, তাঁরা স্থায়ী সমাধান চান। বিক্ষিপ্ত চাকরি নয়, তাঁরা অবসর পর্যন্ত স্থায়ী চাকরি চান।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *