নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, জ্যোতিষ ও আধ্যাত্মিকতা: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান। তবে জানলে অবাক হবেন, অনেক সময়েই স্ত্রী-রা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা স্বামীদের কাছ থেকে গোপন রাখেন। এই বিষয়টি নিয়ে আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে বিশেষ কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তিনি মনে করতেন, এই গোপনীয়তাই অনেক সময় দাম্পত্য জীবনের স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আচার্য চাণক্য, যিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ, তিনি জীবনের নানা দিক নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেছেন। তাঁর মতে, স্ত্রীরা পাঁচটি বিষয় সাধারণত তাঁদের স্বামীদের কাছে প্রকাশ করেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলি কী:
১. নিজের মত না থাকলেও স্বামীর সিদ্ধান্তে সম্মতি দেওয়া
বাড়ির শান্তি ও সম্পর্ক রক্ষার স্বার্থে স্ত্রী-রা প্রায়শই নিজের মত না মেনেও স্বামীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তাঁরা এমন অনেক সময় নিজের মতামত গোপন রাখেন, যাতে অযথা বিবাদ না হয়।
২. পুরোনো প্রেমের কথা গোপন রাখা
স্ত্রীরা সাধারণত তাঁদের অতীত প্রেম বা সম্পর্কের কথা স্বামীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন না। তাঁরা মনে করেন, এই তথ্য প্রকাশ করলে বর্তমানে অশান্তি দেখা দিতে পারে।
৩. নিজের অসন্তুষ্টি লুকিয়ে রাখা
একজন আদর্শ স্ত্রী অনেক সময় স্বামীর ও পরিবারের সুখের কথা ভেবে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন না। তিনি নিজেকে খুশি দেখান, যাতে পরিবারে কোনো অশান্তির সুর না আসে।
৪. গোপনে অর্থ সঞ্চয়
“ঘরের লক্ষ্মী” হিসেবে স্ত্রী-রা ভবিষ্যতের কথা ভেবে গোপনে টাকা জমিয়ে রাখেন। দরকার পড়লে সেই সঞ্চিত অর্থ দিয়েই পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তবে এই সঞ্চয়ের কথা অনেক সময় স্বামীকে জানান না।
৫. গুরুতর অসুস্থতা গোপন রাখা
অনেক সময় শরীর খারাপ হলেও স্ত্রী-রা সেটি স্বামীকে জানাতে চান না। পরিবারের দুশ্চিন্তা বাড়বে—এই আশঙ্কাতেই তাঁরা নিজের অসুস্থতা আড়াল করেন। কারণ, পরিবার তাঁদের কাছে সবকিছু।
চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের গোপনীয়তা অনেক সময় পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। যদিও প্রত্যেক সম্পর্ক আলাদা, তবুও এই জ্ঞান থেকে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি শিখতে পারি।