নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ: চিকিৎসকের স্ত্রীকে খুন এবং চিকিৎসককে খুনের চেষ্টার অপরাধে গাড়িচালক তপন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করল বর্ধমান আদালত। শুক্রবার দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র এই রায় ঘোষণা করেন। আগামী সোমবার আসামির সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা, যদিও বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ সভা ও শোকসভা থাকায় তা পিছোতে পারে।
তপন দাস বর্ধমান শহরের বাবুরবাগের বাসিন্দা। তিনি খোসবাগান লাগোয়া তুলা লেনের চিকিৎসক সুব্রত নাগের গাড়ি চালাতেন। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুরে মাস শেষ হওয়ার আগে বেতন চাইলে চিকিৎসকের স্ত্রী মৌসুমি নাগের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তপন। চিকিৎসক শৌচাগার থেকে বেরিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তপন উত্তেজিত হয়ে লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মৌসুমী দেবীর মাথায়ও লাঠির আঘাত করেন তিনি। বাড়ির আয়া ফিরোজা বিবিকেও মারধর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে ৫৮ বছরের মৌসুমী নাগকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর চিকিৎসক সুব্রত নাগ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫, ৩০৭ ও ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে। পরে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালতে চার্জ গঠন হয়।
সরকারি আইনজীবী শিবরাম ঘোষাল জানান, মাইনের জন্য হওয়া বিরোধ থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খুনের ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিচারক অরবিন্দ মিশ্রেরও বুধবার শেষদিন দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে, কারণ তাঁর বদলি হয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালতে। ফলে বুধবারই তপনের সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা প্রবল।