‘সন্তানরা কাঁদছে, দয়া করে ঢুকতে দিন’—এমন আকুতি পাকিস্তানিদের। তবে নিজ দেশে তাদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার, ফলে দুই সীমান্তের মাঝখানে আটকে পড়েছেন অনেকেই।

‘সন্তানরা কাঁদছে, দয়া করে ঢুকতে দিন’—এমন আকুতি পাকিস্তানিদের। তবে নিজ দেশে তাদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার, ফলে দুই সীমান্তের মাঝখানে আটকে পড়েছেন অনেকেই।

Spread the love

নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, ভারত : ওয়াঘা সীমান্তে অচলাবস্থা: ভারত থেকে ফিরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পাকিস্তানি

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে দুই দেশই একে অপরের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, ভারতে অবস্থানকারী পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে দেশত্যাগ করতে বলা হয়। যদিও নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র থাকলে সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় বৃহস্পতিবার, যখন পাকিস্তান একতরফাভাবে অটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে বহু পাকিস্তানি নাগরিক, যাঁরা ভারত ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন, সীমান্তে আটকে পড়েন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি মিললেও পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রবেশের অনুমতি না মেলায় তাঁরা সীমান্তের মাঝেই আটকে রয়েছেন।

সীমান্তে জড়ো হওয়া পাকিস্তানি নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন দুই বোন, যাঁরা ভারতে বাপের বাড়ি এসেছিলেন। পাকিস্তানে তাঁদের স্বামী-সন্তান রয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে এক বোন বলেন, “আমার ছোট ছোট সন্তানরা ওখানে আছে। আমাদের দোষ কী? আমাদের সন্তানদের থেকে আলাদা করে রাখার অধিকার কারও নেই।”

এই দৃশ্য সীমান্তজুড়ে আরও অনেকের। সকালের পর থেকেই ওয়াঘা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পাকিস্তানি। ভারত থেকে ছেড়ে গেলেও নিজ দেশে প্রবেশ করতে না পারায় তাঁদের মধ্যে অসহায়তা আর ক্ষোভ—দুই-ই স্পষ্ট।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, বুধবার পর্যন্ত মোট ৯১১ জন পাকিস্তানি ভারতে অবস্থান শেষে দেশে ফিরেছেন। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁদের নাগরিকরাই।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *