নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, ভারত : ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: পাকিস্তানের ড্রোন অনুপ্রবেশের লক্ষ্য ছিল ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা পরীক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, দাবি ভারতের
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর অনুমান, পাকিস্তান আকাশপথে বৃহৎ আকারে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল মূলত ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা ও গোপন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।
তিনি জানান, ৭ ও ৮ মে রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একাধিকবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং সীমান্ত বরাবর ভারতীয় সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করে হামলার চেষ্টা চালায়। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী ক্যালিবার অস্ত্র ব্যবহার করে গোলাবর্ষণও চালানো হয়েছে।
এই অনুপ্রবেশের অংশ হিসেবে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কর্নেল কুরেশি আরও বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ড্রোনগুলোর অনেকগুলিকেই গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ধ্বংস হওয়া ড্রোনগুলোর ফরেনসিক বিশ্লেষণ চলছে এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলি ছিল তুরস্কে নির্মিত ‘আসিসগার্ড সোঙ্গার’ ড্রোন।
ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং জানান, পাকিস্তানের এই আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে ভারত সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের চারটি বিমান প্রতিরক্ষা অবস্থানে হামলা চালায়। এর মধ্যে একটি ড্রোন পাকিস্তানের একটি AD রাডার সিস্টেম ধ্বংস করতে সফল হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান ভারী ক্যালিবার আর্টিলারি এবং সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালানোর ফলে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েকজন ভারতীয় সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। তবে, ভারতের পাল্টা অভিযানে পাকিস্তানি সেনার বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।