নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, ভারত : Indian Army Press Conference: অপারেশন সিঁদুরে বিশাল সাফল্য, তিন বাহিনীর সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল সেনা নেতৃত্ব
আজ সন্ধ্যা ৬:৩০টায় ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে “অপারেশন সিঁদুর”-এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, যিনি জানান—এই অভিযানে ১০০-রও বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাবর্ষণ ও ছোট অস্ত্রের গুলিতে প্রায় ৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর (মুরিদকে) ও জইশ-ই-মহম্মদের বাহাওয়ালপুর ঘাঁটি।
ডিজিএমও ঘাই জানান, অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নির্মূল করা। ভারত শুধুমাত্র জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করলেও, পাকিস্তান বেসামরিক ও সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা করেছি, তারা আমাদের নাগরিক ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার চেষ্টা করেছে।”
৭ ও ৮ মে রাতে পাকিস্তান একাধিক ড্রোন ও ইউএভি ভারতীয় আকাশসীমায় পাঠায়। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হামলার চেষ্টা হয়, কিন্তু অধিকাংশই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যর্থ হয়। কিছু পাক যুদ্ধবিমানও ভারতীয় সীমানায় ঢোকার আগেই গুলি করে নামানো হয়। এই সময় পাঁচ ভারতীয় সেনা শহিদ হন।
সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে একাধিক সামরিক ঘাঁটি, যেমন—চাকলালা (ইসলামাবাদ সংলগ্ন), রফিকি, রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ ও ভুলারিতে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। এই প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমেও আঘাত হানা হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত আবারও জানিয়ে দিল—এটি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, বরং সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান। সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।