নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ : দিলীপ ঘোষের স্ত্রীর একমাত্র পুত্রের রহস্যমৃত্যুর ৭-৮ ঘণ্টা পর প্রকাশ পেল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট।
তাতে ‘ফাউল প্লে’ বা আত্মহত্যার কোনও উল্লেখ নেই। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানা গিয়েছে, মৃত আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের হৃদ্যন্ত্র, লিভার ও কিডনির আকার ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় বড়। চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হয় ২৫ বছর বয়সি সৃঞ্জয়কে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ প্রথমে পাঠানো হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য, পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রায় পৌনে পাঁচটা নাগাদ ময়নাতদন্ত হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, সৃঞ্জয়ের মৃত্যু সম্ভবত অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা অগ্ন্যাশয়ে রক্তক্ষরণজনিত প্রদাহের কারণে। হৃদ্যন্ত্রের অস্বাভাবিক আকারও এই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে আনার কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মাথায় ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে স্তব্ধ রিঙ্কু ও দিলীপ—দুজনেই।
নিমতলা শ্মশানে ছেলের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলেন, “মায়ের সব কিছুই ছিল ছেলে। অনেক কষ্টে ওকে মানুষ করেছে। ছেলেও গুণে-দেখায়-চরিত্রে অসাধারণ। এমনটা হবে ভাবিনি। আমার ভাগ্যে পুত্রসুখ নয়, পুত্রশোকই জুটল।”
রিঙ্কু জানান, বিয়ের পর থেকেই ছেলে কিছুটা মনমরা ছিল, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করত না। স্নায়ুর সমস্যা ছিল, ওষুধও নিয়মিত খেত না।