নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, ভারত : ভূস্বর্গে রক্তাক্ত হানা, তসলিমা নাসরিনের ক্ষোভ প্রকাশ
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন, আহত বহু। জলপাই রঙের পোশাকে সজ্জিত জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে চালায় এলোপাতাড়ি গুলি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্তব্ধ গোটা দেশ।
হামলার নিন্দা করে সরব হয়েছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লেখেন—
“যে ধর্ম মানবিক নয়, তাকে মানবিক করে তোলো, না হয় ত্যাগ করো।
ধর্মের শেকড় গাঁথা অজ্ঞতা ও অশিক্ষার মাটিতে।
একটি ধর্মেরই বিবর্তন থেমে গেছে, যেখানে জঙ্গিবাদকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
মানবতা, যুক্তিবাদ, নারীর অধিকার যেখানে বারবার পদদলিত হয়।
ধর্ম যদি মানবতাকে সম্মান না করে, তাহলে তা সভ্যতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”
তসলিমার মন্তব্যে ধর্মীয় উগ্রতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় বার্তা উঠে এসেছে।
পহেলগাঁওয়ের বৈসারন ভ্যালির একটি রিসর্টে জঙ্গিরা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। জানা গিয়েছে, ‘লস্কর-ই-তইবা’র ঘনিষ্ঠ সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার আগে অন্তত এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় রেইকি চালায় তারা।
ঘোড়ায় চড়ে আসা ছয় থেকে সাত জন অস্ত্রধারী জঙ্গি রিসর্ট চত্বরে প্রবেশ করে এবং বিভক্ত হয়ে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। সূত্র বলছে, ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হামলা চালানো হয়েছে।
এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সাজিদ জাট, সাজ্জাদ গুল ও সালিম রেহমানি বলে মনে করা হচ্ছে। TRF দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এবং পর্যটনের মরসুমে হামলার পরিকল্পনা করে।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের পর TRF গঠিত হয় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পহেলগাঁওয়ের হিল স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ কিমি দূরে এই ভয়াবহ হামলা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। অনেকেই পরিবার বা সদ্য বিবাহের পর হানিমুনে গিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্বপ্নের গন্তব্যটি পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে।