মাধ্যমিকের পর এবার সর্বভারতীয় জয়েন্টেও প্রথম দেবদত্তা, ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন খড়গপুরের অর্চিষ্মানও
CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v80), default quality

মাধ্যমিকের পর এবার সর্বভারতীয় জয়েন্টেও প্রথম দেবদত্তা, ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন খড়গপুরের অর্চিষ্মানও

Spread the love

নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, খড়্গপুর,পশ্চিমবঙ্গ: আবারও বাংলার কৃতিত্বের ছাপ সর্বভারতীয় মঞ্চে।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশনের (মেনস) দ্বিতীয় পর্বে দেশের ২৪ জন পরীক্ষার্থী ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। সেই তালিকায় গর্বের সঙ্গে নাম তুলেছে বাংলার দুই মেধাবী – কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি ও খড়গপুরের অর্চিষ্মান নন্দী।

দেবদত্তা এর আগেও নজর কাড়েন, মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়ে। কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবদত্তার সঙ্গে মেনসের দ্বিতীয় পর্বে ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্ব ভাগ করে নিয়েছেন কেবলমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশের এক ছাত্রী।

বাংলা মাধ্যম থেকে উঠে আসা দেবদত্তার এই অর্জনে রাজ্য জুড়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও, তিনি রয়েছেন শান্ত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। লক্ষ্য এখন জয়েন্ট অ্যাডভান্সড। স্বপ্ন – বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস-এ ভর্তির, এবং মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার।

অন্যদিকে, খড়গপুরের বারবেটিয়া এলাকার বাসিন্দা অর্চিষ্মান নন্দী ছোটবেলা থেকেই খড়গপুর আইআইটির গল্প শুনে বড় হয়েছেন। সেই শিকড়েই তাঁর স্বপ্ন – আইআইটিতে ভর্তি হয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করা।

প্রাথমিক শিক্ষা শুরু সাউরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বাংলা মাধ্যমে। পরে মায়ের চাকরির কারণে পরিবার চাঙ্গুয়ালে চলে আসে, এবং অর্চিষ্মান ভর্তি হন একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। মাধ্যমিকের পর তিনি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন খড়গপুর আইআইটি চত্বরে অবস্থিত ডিএভি মডেল স্কুলে।

জানুয়ারি মাসে প্রথম দফার জয়েন্ট পরীক্ষার আগেই হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। তবুও, সেই অবস্থায় পরীক্ষায় বসে পান ৯৯.৯৮ শতাংশ নম্বর।

আজ ছেলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে গর্বিত বাবা মিঠুন নন্দী, যিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে পদস্থ কর্মী এবং মা অনিন্দিতা মাইতি নন্দী, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী।

দেবদত্তার পরিবারও শিক্ষায় উজ্জ্বল। বাবা জয়ন্ত মাজি অধ্যাপক, আর মা শেলি দাঁ (মাজি) দেবদত্তারই স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। তবে ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পরেও তাঁদের বাড়িতে নেই কোনো বাড়াবাড়ি উল্লাস, এমনকি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেও তাঁরা অনিচ্ছুক।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *