সিঙ্গল মাদার নীলাঞ্জনার কথায় যিশুর সঙ্গে স্থায়ী বিচ্ছেদের ইঙ্গিত ?

সিঙ্গল মাদার নীলাঞ্জনার কথায় যিশুর সঙ্গে স্থায়ী বিচ্ছেদের ইঙ্গিত ?

Spread the love

নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ : মুভি ও বিনোদন : দুই দশকের সম্পর্কের ইতি। মায়ের মৃত্যু। ব্যক্তিগত জীবনে নানা ঝড়-ঝাপটার পর এখন অনেকটাই স্থিত নীলাঞ্জনা শর্মা। দুই কন্যা সারা ও জারাকে কেন্দ্র করেই তিনি শুরু করেছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। কাজের জগতে ফের সরব, নিজের মতো করে সামলাচ্ছেন নতুন ধারাবাহিকের প্রি-প্রোডাকশনের দায়িত্ব। একসময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও, পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর শেষ দিনে তিনি নিজেকে মেলে ধরেছিলেন একদম ‘বস লেডি’র ভূমিকায়।

এখন তিনি শুধু নিজের জীবনের জন্য নয়, সমস্ত সিঙ্গল মায়েদের উদ্দেশেও বার্তা দিচ্ছেন—‘বাস্তবের সুপারহিরো’। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রেট করলেন একা মায়েদের মাতৃত্বযাত্রা। লিখলেন,
“আপনারা কি শুনছেন? সুপারহিরোরা বাস্তবেও আছেন। তাঁদেরই বলে সিঙ্গল মাদার।”
সঙ্গে ক্যাপশনে সংযোজন,
“সমস্ত সিঙ্গল মাদারদের জন্য বলছি—আপনারাই বাস্তবের হিরো। আপনাদের জন্য রইল আরও শক্তি।”

এই পোস্টে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছেন গায়িকা রাগেশ্বরী, অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র-সহ আরও অনেকে। অনেক সিঙ্গল মায়েও কমেন্টে জানিয়েছেন ভালোবাসা, সমবেদনা ও সম্মান।

ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলের খবর, যিশু সেনগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই কন্যার দায়িত্ব একা হাতে সামলাচ্ছেন নীলাঞ্জনা। তার একক সংগ্রাম ও মনের জোর দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তিনি নিজেও সময়-সময় সেই শুভেচ্ছা ও বার্তা শেয়ার করেছেন স্টোরিতে।

এক ইনস্টা স্টোরিতে আরও একটি বার্তা ভাগ করে নেন নীলাঞ্জনা:
“ডিএনএ মিললেই মা-বাবা হওয়া যায় না। প্রয়োজন উপস্থিতি, প্রয়োজন প্রচেষ্টা।”

এই প্রসঙ্গেই নেটপাড়ার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—নিজেকে প্রকাশ্যে ‘সিঙ্গল মাদার’ বলে দাবি করে কি নীলাঞ্জনা পাকাপাকি ডিভোর্সের ইঙ্গিত দিলেন?

উল্লেখ্য, যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্যে ভাঙনের গুঞ্জন টলিউডে শোনা যাচ্ছে গত বছর থেকেই। একসময় তাঁরা ছিলেন ‘আদর্শ দম্পতি’র প্রতিচ্ছবি। কিন্তু এখন আর একসঙ্গে থাকেন না। কিছুদিন আগে বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্তও বাবার থেকে দূরত্ব তৈরি করেছেন বলে খবর।

জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের পর যিশু ও নীলাঞ্জনা এখন যে যার পথে এগিয়ে চলেছেন। সময়ই হয়তো তাদের জীবনের নানা ঘা-কে ধীরে ধীরে নিরাময়ের পথে নিয়ে যাচ্ছে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *