নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, জম্মু ও কাশ্মীর, ভারত : Kashmir Terror Attack: নিরীহ পর্যটকদের রক্তে রঞ্জিত হল ভূস্বর্গ কাশ্মীর। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হানার জেরে সারা উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্কের ছায়া। এই ঘটনার পর সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, হামলায় যুক্ত জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। শুধু তাই নয়, হামলাকারীদের মধ্যে কাশ্মীরেরই দুই যুবকও থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে ছ’জন সশস্ত্র জঙ্গি। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই ছ’জনের মধ্যে দু’জন কাশ্মীরের বাসিন্দা – যাদের মধ্যে একজন আদিল ঠোকর ওরফে আদিল গুরি। তাকে হামলার মূলচক্রী বলে শনাক্ত করা হয়েছে। আদিলের বাড়ি অনন্তনাগ জেলার গুরি গ্রামে। দ্বিতীয়জন, আহসান, পুলওয়ামার বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে দুজনেই ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, আদিল গত বছর আবার কাশ্মীরে দেখা যায়। হামলার পরে সে ফের পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ। পুলিশের তরফে প্রকাশিত স্কেচে দাড়িওয়ালা এক যুবককেই আদিল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও জানা যাচ্ছে, হামলায় জড়িত ছিল পাকিস্তানি জঙ্গি মুসা, যার নাম ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর গুলমার্গে সেনার কনভয়ের ওপর হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন সাধারণ মানুষ ও দুই সেনা।
এই হামলায় আরেক জঙ্গি, আসিফ শেখ, অবন্তীপুরার বাসিন্দা – তাকে গাইডের ভূমিকায় দেখা গেছে, জঙ্গিদের পথ দেখিয়ে এনেছিল সে।
ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার নাম। তাদের ছায়া সংগঠন ‘The Resistant Front’ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম The Hindu-কে উদ্ধৃত করে এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, “তিন-চারজন পাকিস্তানি জঙ্গির সঙ্গে দুই কাশ্মীরি যুবক সীমান্ত পার করে কাশ্মীরে প্রবেশ করে। তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আমাদের কাছে স্পষ্ট তথ্য ছিল।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার সময় জঙ্গিদের পরনে ছিল জংলি পোশাক, হাতে ছিল AK সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাথায় ক্যামেরা লাগানো হেলমেট। মূলচক্রীরা সরাসরি সেই ক্যামেরার মাধ্যমে হামলার ছবি দেখছিল।