নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, বাংলাদেশ : Shaikh Hasina attack Muhammad Yunus: বাংলাদেশে মোহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তীব্রতর
বর্তমানে বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে তার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ইউনূসের প্রস্তাবিত সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচন স্থগিত করার যে প্রয়াস নেওয়া হয়েছিল, তা সেনাপ্রধান সোজাসাপ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই অবস্থায় ইউনূসপন্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। তারা রাজপথে বিক্ষোভ করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রচারণা চালাচ্ছে, যা অনেকটা সেই প্রচেষ্টার মতোই—যার মাধ্যমে গত বছর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা হয়েছিল। পার্থক্য হলো, তখন লক্ষ্য ছিল হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা, আর এখন ইউনূসকে রক্ষা করা।
তবে বিরোধী পক্ষও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, যা আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অরাজকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরাসরি গুরুতর অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“ইউনূস বাংলাদেশকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করেছেন” – শেখ হাসিনার অভিযোগ
একটি ফেসবুক পোস্টে শেখ হাসিনা বলেন, মোহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা দখলের জন্য এমন ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়েছেন, যারা আগে থেকেই নিষিদ্ধ ও চরমপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি দাবি করেন, “আমরা এতদিন যাদের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করেছি, ইউনূস তাদেরই মুক্ত করে দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “মাত্র একটি জঙ্গি হামলার পর আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে বহু জঙ্গিকে আটক করেছিলাম। কিন্তু এখন দেশের জেলগুলো প্রায় ফাঁকা, কারণ ইউনূস তাদের মুক্তি দিয়েছেন। সেই চরমপন্থীরাই এখন দেশের শাসনব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তার করছে।”
“সংবিধান ছাড়া আইন পরিবর্তনের অধিকার কার?”
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রামের ফসল। ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত একটি অবৈধ গোষ্ঠী কীভাবে এই সংবিধানে হস্তক্ষেপ করতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার ভাষায়, “তাদের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই, জনগণের ম্যান্ডেট নেই। সংসদের বাইপাস করে তারা কীভাবে আইন পরিবর্তন করছে? এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।”
তিনি দাবি করেন, ইউনূস আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর সরাসরি আঘাত। একই সঙ্গে তিনি ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকা ব্যক্তির অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, যেটি তিনি “অস্তিত্বহীন” বলে মন্তব্য করেন।

