নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ: নেশা ছাড়ানোর জন্য পরিবারের তরফে এক তরুণকে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসার আড়ালে তার উপর চালানো হয় অকথ্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। হুগলির চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে দীপককুমার সাউ নামে ১৯ বছরের ওই তরুণকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডানকুনির নর্থ সুভাষ পল্লি এলাকার বাসিন্দা দীপককে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘মা তারা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ নামে চণ্ডীতলার বরিজহাটি এলাকায় অবস্থিত এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে থাকার জন্য প্রতি মাসে ৪,৫০০ টাকা করে দিতে হত। পরিবারের অভিযোগ, দীপক সেখানে থাকার সময় তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হত না।
গত ১৮ এপ্রিল দীপকের পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গিয়ে দেখেন, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। জিজ্ঞাসাবাদে দীপক জানান, তাকে প্রতিদিন উচ্চস্বরে গান চালিয়ে পিভিসি পাইপ, বেল্ট ও বাঁশ দিয়ে মারধর করা হত। এমনকি, নগ্ন করে পা বেঁধে মারধরের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। শরীরে কাটা জায়গায় নুন ও লঙ্কা লাগানোরও অভিযোগ রয়েছে।
চিকিৎসার নামে এমন অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় পরিবার। এরপর তারা চণ্ডীতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।