নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ : fake passport : ১১টি আধার কার্ড ব্যবহার করে বানানো হয়েছিল ৮৩টি পাসপোর্ট, যার মধ্যে ৩৭ জনেরই কোনও অস্তিত্ব নেই! এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলার শুনানিতে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের হাতে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন মহম্মদ ইমরান নামে ট্রাফিক পুলিশের এক হোমগার্ড ও বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে এক পোস্টম্যান। ইমরান জামিনের আবেদন করলে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে হয় শুনানি। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, ভদ্রেশ্বর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ৮৩টি পাসপোর্টের আবেদনে মাত্র ১১টি আধার কার্ড ব্যবহৃত হয়েছে এবং ৩৭ জন আবেদনকারীর কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এই তথ্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি ও বলেন, “এও হতে পারে! এতো সরষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে রয়েছে।”
আদালত ইমরানের জামিন খারিজ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, পলাতক মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ হালদারের কাছ থেকে ইমরানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। ট্রাফিক হোমগার্ড হওয়ার সুবাদে ইমরান জাল নথির ভিত্তিতে আইবি রিপোর্টেও কারচুপি করতেন বলে অভিযোগ।
বিশ্বজিৎ ঘোষের কাজ ছিল জাল পাসপোর্ট সরবরাহ করা। তদন্তে আরও জানা যায়, এই মামলায় আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই আবদুল হাই, যিনি অবসর নেওয়ার আগে শেষ চার বছর পাসপোর্ট নথিপত্র যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন।