নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ: কলকাতার চিনার পার্কের পর এবার পুরুলিয়ায় আয়কর ছদ্মবেশে ডাকাতি!
আয়কর তল্লাশির নামে এক বিড়ি কারখানার মালিকের বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নগদ ও মূল্যবান গহনা লুট করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার সাত জনকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছয়জন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, একজন পুরুলিয়ার কোটশিলা থানা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারদের মধ্যে একজন নিজেকে সিআরপিএফ জওয়ান বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ এপ্রিল বিকেলে ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী কোটশিলা থানার বামনিয়া গ্রামে হানা দেয় সাত-আট জনের একটি দল। তারা আয়কর দফতরের পরিচয় দিয়ে কিরীটি কুমার নামে এক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। একটি নোটিস দেখিয়ে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয় এবং বন্দুক দেখিয়ে তল্লাশি চালায়। আলমারি, সিন্দুক — সবকিছু তছনছ করে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ‘তল্লাশি’। ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে তারা একটি তালিকাও তৈরি করে। শেষে বলে, নথিপত্র জমা দিলে সব ফিরিয়ে দেওয়া হবে! এরপর স্কর্পিয়ো গাড়িতে চড়ে চম্পট দেয় তারা। যাওয়ার সময় বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও খুলে নেয়, এবং কিরীটির এক কর্মীকেও জোর করে গাড়িতে তোলে।
কিছুক্ষণ পর সন্দেহ হওয়ায় কিরীতির পরিবার কোটশিলা থানায় অভিযোগ জানায়। তদন্তে নেমে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল প্রযুক্তি ও নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে স্কর্পিয়ো গাড়ি উদ্ধার করে ঝাড়খণ্ডের জোনা বাজার থেকে। তারপর ঝাড়খণ্ডে অভিযান চালিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও অলঙ্কার খোঁজার চেষ্টাও চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই কলকাতার চিনার পার্কে একই কায়দায় আয়কর দফতরের পরিচয় দিয়ে এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের পুরুলিয়ায় একই কাণ্ড।