নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, অরুনাংশু, দীঘা, পশ্চিমবঙ্গ : দিঘার বাসস্ট্যান্ডে কিছুটা হতচকিত ভঙ্গিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল দুই কিশোর। তাদের দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। এগিয়ে গিয়ে তিনি জানতে চান পরিচয় ও সেখানে থাকার উদ্দেশ্য। পড়ুয়াদের উত্তরে উঠে আসে এক অবাক করা সত্য।
দুজনেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার অন্তর্গত বৈতা হাইস্কুলের ছাত্র। একজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে, অন্যজন সপ্তমে পড়ে। বয়স মাত্র ১৩ ও ১৪ বছর। জানায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুদিন ধরেই দেখে আসছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি, রিল ও ভিডিও। তা দেখে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল যে, নিজের চোখে সেই মন্দির দেখার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
বুধবার দুপুরে টিউশন শেষ করেই কার্তিক ও আকাশ নামে দুই কিশোর বাসে চেপে পৌঁছে যায় দিঘা। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছেও চেনা রাস্তা না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তখনই বাসস্ট্যান্ডে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা লক্ষ্য করে সিভিক ভলান্টিয়ার এগিয়ে আসেন।
দিঘা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওসি) অমিতকুমার প্রামাণিক জানান, ‘‘স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে ওই দুই কিশোর যখন বাসস্ট্যান্ডে ঘুরছিল, তখনই নজরে আসে বিষয়টি। থানায় নিয়ে এসে কথা বলার পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বর্তমানে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’’
প্রযুক্তির হাত ধরে তৈরি হওয়া কল্পনার রিল বাস্তবেই কতটা বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।

