নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ : মেদিনীপুর মহিলা থানার ওসি সাথী বারিককে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্থানে মেদিনীপুর মহিলা থানার নতুন ওসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সায়ন্তনী মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় মোট ৪২ জন পুলিশকর্মীর বদলির কথা জানানো হয়েছে। সেই তালিকাতেই সাথী বারিকের নাম রয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই রদবদল একটি রুটিন প্রক্রিয়ার অংশ।
তবে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখযোগ্য, ওসি সাথী বারিকের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে একটি গুরুতর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, এসইউসিআই-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র কয়েকজন সদস্যকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। এই অভিযোগ বর্তমানে হাই কোর্টে বিচারাধীন।
ঘটনাটি ঘটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের এক সম্মেলনকে ঘিরে উত্তেজনার পর। অভিযোগ, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির নিচে চাপা পড়ে এক ছাত্র আহত হয়। এর প্রতিবাদে এসএফআই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘট ডাকে। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে ডিএসও-র কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গেলে তাঁদের মেদিনীপুর মহিলা থানার পুলিশ জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ আরও ছিল, থানায় নিয়ে গিয়ে ওসি সাথী বারিক তাঁদের গায়ে জ্বলন্ত মোমবাতি ছুঁইয়ে দেন এবং হুমকি দেন। বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া। বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ দেন তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে, যা আইপিএস অফিসার মুরলীর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। রিপোর্টের ভিত্তিতে হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ দেয়, নির্যাতনের অভিযোগ সত্য। এরপরই সিট (বিশেষ তদন্ত দল) গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ।
এই বদলির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসইউসিআই-এর জেলা নেত্রী টুম্পা গোস্বামী বলেন, “আন্দোলনের দিন আমাদের সংগঠনের সদস্যদের থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। বিষয়টি হাই কোর্টে বিচারাধীন।” তিনি এই বিষয়ে আরও কিছু বলতে চাননি।