নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক,পশ্চিমবঙ্গ : মুর্শিদাবাদের হিংসা ‘দেশবিরোধী কার্যকলাপ’, এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনাকে ‘দেশবিরোধী কার্যকলাপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এই ঘটনার তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে দিয়ে করানো উচিত। আজ, সোমবার (১৪ এপ্রিল, ২০২৫) সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় যেখানে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কম, সেখানে হিন্দুদের ভোটাধিকার কার্যত খর্ব করা হচ্ছে। তাই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে নির্বাচন করানো উচিত।”
শুভেন্দুর দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়—including মুর্শিদাবাদ—অশান্তি ও হিংসা ছড়িয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। আদালতের নির্দেশে সেই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিএসএফ এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “আমি আদালতে জানিয়েছি, যেভাবে বোমাবাজি, গুলিচালনা হয়েছে এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপ ঘটেছে, তাতে এনআইএ তদন্ত একান্ত প্রয়োজন। হিন্দুদের সংখ্যা যেখানে কম, সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে ভোট হওয়া উচিত।”
এদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যেদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন করবে, সেদিন মুর্শিদাবাদের হিংসা রুখে যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ফলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনও হিন্দুরা মুক্তভাবে ও নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারছেন না। অনেকেই মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাঁরা এখনও নিজের বাড়িতে ফেরার সাহস পাচ্ছেন না।”
সবশেষে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত বলেন, “বাংলার হিন্দুরা আজ বুঝতে পারছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গকে ‘নরম বাংলাদেশে’ পরিণত করেছেন।”