নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, আন্তর্জাতিক খবর : ইরানে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার কারণ এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ওই বক্তব্যে তিনি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাই এই অভিযানের মূল কারণ। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান যদি শান্ত না হয়, তবে আরও বড় ও প্রাণঘাতী হামলা চালাবে আমেরিকা।
ট্রাম্প জানান, ইজ়রায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। ইজ়রায়েলি সেনাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রেসিডেন্টের দাবি, ইরানের ফোরডো, নাতান্জ় ও এসফাহানে থাকা পরমাণু ঘাঁটিগুলি আমেরিকার হামলায় ধ্বংস হয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘‘এগুলোই ছিল সবচেয়ে কঠিন টার্গেট। তবে ইরানে এমন আরও বহু জায়গা রয়েছে, যেখানে হামলা চালানো আরও সহজ হবে।’’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘ইরান যদি শান্তি ফিরিয়ে না আনে, তবে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আক্রমণ চলবে। আমরা প্রস্তুত। এই সংঘাত দ্রুত বন্ধ না হলে বিপর্যয় অনিবার্য।’’
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য অনুযায়ী, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হতে চায়। আমেরিকা এই পরিকল্পনার ঘোর বিরোধী। অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা নিজেদের সুরক্ষার জন্যই পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিতর্কের মাঝেই ইজ়রায়েল প্রথম হামলা চালায় ইরানে। তাতে নিহত হন চার জন শীর্ষ সেনাকর্তা ও নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী। এর পাল্টা জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে জেরুসালেম, তেল আভিভ এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। সংঘাতের নবম দিনে সরাসরি যুক্ত হয় আমেরিকা।
ট্রাম্প জানান, ইজ়রায়েলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অভিযান চালিয়েছে মার্কিন সেনা। বলেন, ‘‘আমাদের যৌথ বাহিনীর এই অপারেশন নিঃসন্দেহে ইতিহাসে নজির হয়ে থাকবে।’’
সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী সফলভাবে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। এখন সময় শান্তির।’’
মূল বার্তা:
শান্তির বার্তা দিলেও কড়া অবস্থান থেকে সরেননি তিনি।
ইরানের পারমাণবিক শক্তিকে ধ্বংস করাই ছিল মূল লক্ষ্য।
হামলায় যুক্ত ছিল ইজ়রায়েল।
ভবিষ্যতে আরও ভয়ানক হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের।