নিউজ বাংলা অনলাইন ডেস্ক, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ : নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের দিন ঘোষণা করতে হবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে—এমনই আলটিমেটাম দিল পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চকে হাওড়া পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী। অন্যথায়, ঐক্যমঞ্চ ফের নবান্ন অভিযান শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে—এই সময়সীমার মধ্যে আদৌ কি আলোচনার দিন নির্ধারণ সম্ভব?
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট কার্যালয়ে ঐক্যমঞ্চের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের ফের বৈঠক হয়। মঞ্চের তরফে উপস্থিত ছিলেন ৮ জন প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযান ডাকে ঐক্যমঞ্চ। তবে এরপর প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক দফা বৈঠক—হাওড়া, লালবাজার এবং ভবানীভবনে—তেমন কোনও ফলপ্রসূ হয়নি। প্রশাসনের আশ্বাস ছিল, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সেই আশ্বাসে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয় নবান্ন অভিযান।
তবে একাধিকবার বৈঠক সত্ত্বেও মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনার নির্দিষ্ট দিন জানানো হয়নি। এবার তাই পুলিশ কমিশনার স্পষ্ট জানিয়ে দেন,
“আগামী সাত দিনের মধ্যে, অর্থাৎ আগামী বুধবারের মধ্যে জানিয়ে দেব—নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আপনাদের বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা সম্ভব কি না। তা না হলে আপনারা চাইলে আন্দোলনের পথে যেতে পারেন। সেখানে আমাদের আর কিছু বলার নেই। আমরা কেবলমাত্র সমস্যাটা নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে আন্দোলনের পথে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সবারই সমস্যা হবে। সেই কারণেই আমরা সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছি।”
ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক আশীষ খামরই বলেন,
“আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই। প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রথমে আলোচনায় বসতে হবে, কিন্তু সেটাও হচ্ছে না। সরকারের মনোভাব বরাবরই সমাধান থেকে পেছানোর। তাই দুর্নীতির প্রতিবাদে আজও আমরা রাস্তায়।”
মঞ্চের আরেক আহ্বায়ক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন,
“আগামী সাত দিনের মধ্যে আলোচনার দিন ঘোষণা না হলে যে আন্দোলন হবে, তার মাত্রা সরকার কল্পনাও করতে পারবে না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান, কিন্তু সরকার কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছে না।”
